গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যূন্যতম বেসিক মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণার দাবি

 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকার মিরপুর, উত্তরাসহ বিভিন্ন শ্রমিক এলাকায় মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চলমান আন্দোলনে দমন-পীড়ন বন্ধ করে চলতি মাস থেকে অন্তত ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা চালু এবং অবিলম্বে মজুরি বোর্ড গঠন করে গার্মেন্ট শ্রমিকদের ২০ হাজার টাকা ন্যূনতম বেসিক মজুরি ঘোষণার দাবি জানিয়েছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র।

সোমবার (৬ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি এবং জীবন ব্যয়ের মাত্রাহীন বৃদ্ধির মুখে দাঁড়িয়ে গার্মেন্ট শ্রমিকদের পক্ষে আর কোনোভাবেই জীবনধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে দেশের গার্মেন্ট শ্রমিকরা বিভিন্ন শিল্প এলাকায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছে। শ্রমিকদের এই আন্দোলন দমনে সরকার দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। শ্রমিকদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা-গ্রেপ্তার ও নির্যাতন চলছে।

এদিকে দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি ও বাড়ি ভাড়াসহ জীবনযাত্রার ব্যয় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত প্রায় দুই বছর ধরে গার্মেন্ট শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু শ্রমিকদের বাঁচার মতো মজুরির দাবির প্রতি সরকার ও মালিকপক্ষ কর্ণপাত করছে না।

তারা বলেন, গার্মেন্ট শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য অতীতে প্রতিবারই শ্রমিকদের কঠোর আন্দোলন, অনেক ত্যাগ স্বীকার এবং জুলুম-নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। তারপরও কখনোই শ্রমিকদের দাবির কাছাকাছি কিংবা তৎকালীন বাজারদর অনুযায়ী কোনো মতে বাঁচার মতো মজুরিও আদায় হয়নি। প্রতিবারে গ্রেড চুরিসহ নানান কারসাজির মাধ্যমে শ্রমিকদের প্রকৃত আয় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সমাবেশ থেকে বলা হয়, আন্দোলন দমনের পথ পরিহার করে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার মাধ্যমেই শিল্পে উৎপাদনের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা করতে হবে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কার্যকরী সভাপতি কাজী রুহুল আমীন, সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা সাদেকুর রহমান শামীম, জালাল হাওলাদার, এম এ শাহীন, দুলাল সাহা, আলম সরকার প্রমুখ।